২২.১০.১৮

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য গৃহঋণ


৫শতাংশ সুদে সরকারী চাকুরীজীবীদের গৃহখাতে গৃহঋণ দিতে রাষ্ট্র মালিকাধীন চার বানিজ্যিক ব্যাংক ও বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশনের সাথে সমঝোতা স্মারক(এমওইউ) সই করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। বাড়ি তৈরি বা ফ্ল্যাট ক্রয়ের জন্য সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সর্বোচ্চ ৭৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা পাবেন।

গত ৩০ জুলাই অর্থ বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনে 'সরকারি কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং-ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহনির্মাণ ঋণ প্রদান নীতিমালা-২০১৮' জারি করে। নীতিমালা অনুযায়ী বাজারে সুদের হার যা-ই থাকুক, চাকরিজীবীরা সুদ দেবেন ৫ শতাংশ। আর অতিরিক্ত সুদ ভর্তুকি হিসেবে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে দেওয়া হবে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী চাকরি স্থায়ী হওয়ার পাঁচ বছর পর থেকে সরকারি চাকরিজীবীরা এ ঋণ পাওয়ার যোগ্য হবেন। তবে ৫৬ বছর বয়স পর্যন্ত তারা আবেদন করতে পারবেন। চাকরির গ্রেড অনুযায়ী ঋণ দেওয়া হবে ২০ লাখ থেকে ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত। ঋণ পরিশোধের সর্বোচ্চ সময় ২০ বছর। নীতিমালায় বলা হয়েছে, বাড়ি (আবাসিক) নির্মাণের জন্য একক ঋণ, জমি ক্রয়সহ বাড়ি (আবাসিক) নির্মাণের জন্য গ্রুপভিত্তিক ঋণ, জমিসহ তৈরি বাড়ি কেনার জন্য একক ঋণ এবং ফ্ল্যাট কেনার জন্য ঋণ এর আওতায় আসবে।

ব্যক্তিগত জমির ওপর বাড়ি তৈরি করতে চাইলে ঋণের আবেদনপত্রের সঙ্গে জমির মূল মালিকানার দলিল জমা দিতে হবে। মালিকানা পরম্পরার তথ্যও দিতে হবে। সরকারি প্লট বা সরকার থেকে ইজারা নেওয়া জমিতেও বাড়ি তৈরি করা যাবে। সে ক্ষেত্রে ঋণ আবেদনের সঙ্গে প্লটের বরাদ্দপত্রের প্রমাণপত্র এবং অন্যান্য দলিল জমা দিতে হবে। ডেভেলপারকে দিয়ে বাড়ি তৈরি করালে জমির মালিক এবং ডেভেলপারের সঙ্গে নিবন্ধন করা ফ্ল্যাট বণ্টনের চুক্তিপত্র, অনুমোদিত নকশা, ফ্ল্যাট নির্মাণস্থলের মাটি পরীক্ষার প্রতিবেদন, সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্ধারিত ছকে ইমারতের কাঠামো নকশা ও ভারবহন সনদ জমা দিতে হবে। গৃহনির্মাণ ঋণের ক্ষেত্রে প্রথম কিস্তির ঋণের অর্থ পাওয়ার এক বছর পর এবং ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে ঋণের টাকা পাওয়ার ছয় মাস পর মাসিক কিস্তি পরিশোধ শুরু হবে।

সরকারি কর্মচারীদের গৃহনির্মাণ ঋণের নিয়মাবলীর জন্য কর্পোরেশনের ওয়েব সাইটের নিম্ন ঠিকানায় ক্লিক করুনঃ