২২.৩.১৮

Asset Liability Committee (ALCo) এর কার্যক্রম জোরদার করতে হবেঃ দেবাশীষ চক্রবর্ত্তী (ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বিএইচবিএফসি)



দেবাশীষ চক্রবর্ত্তী(ব্যবস্থাপনা পরিচালক)  

Asset Liability Committee(Alco)-এর কার্যক্রমকে জোরদান করতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশনের(বিএইচবিএফসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক(এমডি) দেবাশীষ চক্রবর্ত্তী। দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার সঙ্গে ব্যাংকিং খাতের তারল্য সংকট ও উত্তরণ বিষয়ে কথা বলার সময় তিনি একথা বলেন।


বর্তমানে ব্যাংকিং খাতে ভয়াবহ তারল্য সংকট চলছে। এতে কিছু কিছু ব্যাংক তাদের স্বাভাবিক ব্যাংকিং কর্মকান্ড চালাতে হিমশিম খাচ্ছে এবং কলমানির দ্বারস্থ হচ্ছে। অনেকেই আবার নতুন ঋণ বিতরণ বন্ধ রেখেছে। চলমান বিভিন্ন প্রকল্পে ঋণ বিতরণও করতে পারছেন না কেউ কেউ। মূলত বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মে ঋণ ও আমানত রেশিও (এডিআর) সমন্বয়, ডলার বাজারে দীর্ঘমেয়াদি অস্থিরতা, ফারমার্স ব্যাংক-কান্ডে সৃষ্ট আস্থাহীনতায় বেসরকারী ব্যাংক থেকে সরকারী আমানত তুলে নেওয়া ও ব্যাসেল-৩ আওতায় বাড়তি মূলধন সংরক্ষণ করতে গিয়ে অধিকাংশ ব্যাংকে এ সংকট তৈরি হয়েছে। এতে ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকট আরও ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। 


এ সংকট থেকে উত্তরণে বিএইচবিএফসি’র এমডি দেবাশীষ চক্রবর্ত্তী বলেন, মুদ্রাবাজারে তারল্য সংকটে সুদহার বেড়েছে। এটি চাহিদার উপর নির্ভর করে। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সুদের হার বেড়েছে। তবে এসমস্যা সাময়িক। তিনি বলেন, সদ্য ঘোষিত মুদ্রানীতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বানিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঋণসীমা কমিয়ে দিয়েছে। ফলে সবাই ডিপোজিটের পেছনে ছুটছেন। সংকট থেকে উত্তরণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসারে এডি রেশিও সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। 


এছাড়া ব্যাংকগুলোকে মনিটরিংয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এক্ষেত্রে ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর উদ্যোগ না নিয়ে আগে থেকে মনিটরিং প্রয়োজন। এজন্য Asset Liability Committee(ALCo)-এর কার্যক্রমকে জোরদার করতে হবে। ব্যাংকগুলোর আগ্রাসী ব্যাংকিং থেকে বের হয়ে আসতে হবে। আমানত সংগ্রহ না করে ঋণ বিতরণ থেকে বিরত থাকতে হবে। আর ব্যাংকিং খাতে যেসব অব্যবস্থাপনা আছে তার দিকে নজর রাখা প্রয়োজন। বিশেষ করে স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি আমানত থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন না করারও পরামর্শ দেন তিনি। তিনি মনে করেন, ফান্ড অনুসারে বিতরণ করা দরকার।

১২.৩.১৮

'নাগরিক সেবায় উদ্ভাবন' শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা


জনপ্রশাসন অথবা নাগরিক সেবায় উদ্ভাবন ধারণাটি বিশ্বব্যাপী ব্যাপকভাবে আলোচিত। বাংলাদেশে নাগরিক সেবায় সম্প্রতি এ সংক্রান্ত আলোচনা ও চর্চা শুরু হয়েছে। সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ, অধিদপ্তর/সংস্থা এবং জেলা, উপজেলা পর্যায়ে একটি করে ‘ইনোভেশন টিম’ গঠনের নির্দেশনাসূচক সার্কুলার জারি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন প্রোগ্রাম(এটুআই) এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ নাগরিক সেবায় উদ্ভাবনী চর্চাকে সার্বজনীন করার লক্ষ্যে অন্যান্য মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও মাঠ পর্যায়ের অফিসসমূহের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
নাগরিকের প্রয়োজন ও চাহিদা বিবেচনা করে সরকারী সেবা প্রদান প্রক্রিয়ার উন্নয়ন বা সহজিকরণই নাগরিক সেবায় উদ্ভাবনের প্রাথমিক উদ্দেশ্য। এ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে গণকর্মচারীগণের মধ্যে সেবা গ্রহীতার প্রকৃত অবস্থা অনুধাবনে সহমর্মীতা(এমপ্যাথি) এবং কাঙ্খিত পরিবর্তন অন্বেষণে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ঝুঁকি গ্রহণের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন। এছাড়া নাগরিক সেবার সমস্যা চিহ্নিতকরণের দক্ষতা, সৃজনশীল সমাধান পরিকল্পনা, পরিবর্তন ব্যবস্থাপনা, দলীয় উদ্যোগ, নেটওয়ার্কিং ও পার্টনারশিপ, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়ক জ্ঞান, দক্ষতা ও চর্চা আবশ্যিকরণে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রাম মন্ত্রিপরিষদের আয়োজনে কর্পোরেশনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ১৩-১৭ মার্চ  ২০১৮ ৫দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হচ্ছে 'নাগরিক সেবায় উদ্ভাবন’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা। 
১৩ মার্চ ২০১৮ খ্রি. তারিখে বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে  'নাগরিক সেবায় উদ্ভাবন' বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব দেবাশীষ চক্রবর্ত্তী।  উক্ত কর্মশালার  অনুষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক ড. দৌলতুন্নাহার খানম ও মোঃ জাহিদুল হক এবং এটুআই প্রতিনিধি ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট এক্সপার্ট মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। কর্পোরেশনের বিভিন্ন পর্যায়ের ২৫ জন কর্মকর্তা এতে অংশগ্রহণ করেন।

এর আগে গত ১৮-১৯ এপ্রিল ২০১৭, ২৮-২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২৭-২৮ নভেম্বর ২০১৭ তারিখ সময়ে তিনবার ‘নাগরিক সেবায় উদ্ভাবন’ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঋণ মঞ্জুরী সহজিকরণ; ঋণ বিতরণ স্বয়ংক্রিয়করণ; ঋণ পরিশোধ প্রক্রিয়া সহজিকরণ; রিয়েল টাইম ঋণের তথ্য সরবরাহকরণ; দ্রুত দলিল ফেরত; বিভাজনমূলে ঋণের বাড়ির মালিকানা হস্তান্তর সহজীকরণ; ঋণ আদায় প্রক্রিয়া সহজিকরণ; ঋণ নথি প্রসেস ও অনুসন্ধান; হিসাব চূড়ান্ত  নিষ্পত্তিসহ দলিল ফেরৎ প্রক্রিয়া সহজিকরণ; Online/Mobile Banking-এর মাধ্যমে কিস্তি পরিশোধ ও হিসাব হালনাগাদকরণ; কর্পোরেশনের অগ্রিম প্রদান সহজিকরণ; পেনশন সেবা সহজিকরণ ইত্যাদি নানাবিধ উদ্ভাবনী ধারণা বিকশিত হয় বিগত এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা গুলোতে।